নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর শিবপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নবগঠিত কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল ও বিক্ষোভ করেছে সংগঠনের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকালের দিকে শিবপুর বাসস্ট্যান্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে এই ঝাড়ু মিছিল বের হয়। মিছিলটি সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাসস্ট্যান্ড যাত্রী ছাউনিতে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসময় কমিটি বাতিলের দাবির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ফ.ম মাহাবুবুল হাসান মাহাবুবের বিরুদ্ধেও স্লোগান তুলেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।কেন্দ্রীয় এই নেতার বিরুদ্ধে স্লোগান তোলার কারণ হিসেবে জানা যায়,আ.ফ.ম মাহাবুবুল হাসান এর বাড়ি শিবপুর এবং তার নির্দেশনাতেই এই আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিক্ষোভ সামবেশে পদবঞ্চিত নেতারা বলেন,নাটকীয়ভাবে শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যে কমিটি করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র বিরোধী। বিগত ১০ বছর ধরে হাফেজ আহমেদ সরকার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন,কিন্তু একটি ওয়ার্ড কমিটিও তিনি করতে পারেননি।এমন একজন ব্যর্থ সভাপতিকে কিভাবে পূনরায় কমিটির আহবায়ক করা হলো তা আমাদের বোধগম্য নয়।তাছাড়া নতুন আহবায়ক কমিটিতে একসময়ের ছাত্রদল নেতাদেরকেও অন্তর্ভূত করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের যে সকল সাবেক নেতারা স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতি করে আসছে এবং বিভিন্ন পদ প্রত্যাশী ছিলো তাদেরকে এই কমিটিতে রাখা হয়নি।অন্যদিকে অনেক সিনিয়র নেতাকে এই কমিটিতে সদস্য রেখে তাদেরকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে এই কমিটি অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানাচ্ছি আমরা।’
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আখিল মৃধা,স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদ প্রত্যাশী শহীদ খান,দেলোয়ার হোসেন,উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আমাল ভূঁইয়া,পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. ওমর ফারুক,নবগঠিত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক রিফাত রাখিল ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী তাজুল ইসলাম জনি,পদবঞ্চিত নেতা রুবেল ভূঁইয়া,লিমন ভূঁইয়া প্রমুখ।
এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সামসুল আলম ভূইয়া রাখিল জানান,নতুন এই আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পর্কে আমি অবগত নই। আমাকে জানানোও হয়নি। পূর্বের কমিটির ব্যর্থতার কারণে কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি করার জন্য আলোচনা হচ্ছিল। কিন্তু কমিটি গঠন এর আগে কোন আলোচনা করেনি। যাকে আহবায়ক করা হয়েছে তিনি বিগত ১০ বছর সভাপতি ছিলেন। সে ১০ বছরে একটি ইউনিয়ন কমিটিও করতে পারেনি। আবার তাকেই আহবায়ক করা হয়েছে। ব্যর্থ সভাপতিকেই যদি পূনরায় আহবায়ক করা হয় তাহলে কমিটি ভাঙ্গার কি দরকার ছিল?
উল্লেখ্য, ২ অক্টোবর ২০২৩ স্বাক্ষরে (গতকাল বুধবার প্রকাশিত) সাবেক সভাপতি হাফিজ আহমেদ সরকারকে আহবায়ক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক ও আওয়ামী লীগের সহ দপ্তর সম্পাদক মোশাররফ হোসেনকে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।