নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর’র শীর্ষ পর্যায়ের নেতা মো. মাহামুদ হাসানকে (৩০) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সে মোহাম্মদপুর থানার মৃত. মো. নুরুল আমিনের পুত্র।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত জঙ্গি নেতা মো. মাহামুদ হাসান জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর’র দাওয়াতি বিভাগের দায়িত্বশীল সদস্য। মাহামুদ হাসানের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর ও পল্টন থানায় ৩ টি মামলা রয়েছে এবং সে প্রায় দীর্ঘ ১০ বছর পালিয়ে ছিল।
আজ র্যাব-২ এর সিনিয়র এএসপি সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. ফজলুল হক শীর্ষ জঙ্গি নেতা মাহামুদ হাসানকে আটকের বিষয়টি বাসসকে নিশ্চিত করেছেন।
ফজলুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ একটি দল গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও জানান, আটক জঙ্গি নেতা মাহামুদ হাসানের নেতৃত্বে ঢাকা শহরের বিভিন্ন মসজিদের সামনে ‘হিযবুত তাহরীর’র সদস্যদের নিয়ে ঝটিকা মিছিল করে থাকে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিটিং করে ‘হিযবুত তাহরীর’ লিফলেট এবং পোষ্টার বিতরণের মাধ্যমে সরকার এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।
মো.ফজলুল জানান, এজাহার নামীয় ও চার্জশীটভুক্ত হিযবুত তাহরীর’র শীর্ষ পর্যায়ের নেতা মাহমুদ হাসান ইতিপূর্বে একবার গ্রেফতার হয়েছিল। এরপর জামিনে বের হয়ে পলাতক থেকে দীর্ঘ দিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে চলে এবং জঙ্গী সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে ডিএমপির মোহাম্মদপুর ও পল্টন থানায় তিনটি মামলা রয়েছে। মোহাম্মদপুর থানার মামলায় বিজ্ঞ আদালতের রায়ে ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড হয়। আদালতের রায় ঘোষণার সময় সে পলাতক ছিল।