কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে টাকার সঙ্গে মনোবাসনা পূরণের আকাঙ্ক্ষার বেশকিছু চিঠি পাওয়া গেছে। তারমধ্যে একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। বেনামে ওই চিঠি লিখেছেন এক ব্যক্তি।
শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টায় পাগলা মসজিদে ৯টি দানবাক্স খোলা হয়। এসময় বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় দানবাক্সের টাকাগুলোর সঙ্গে বেশকিছু চিঠি পাওয়া যায়। তার মধ্যে একটি চিঠিতে নাম-পরিচয়বিহীন একজন লিখেছেন- ‘আল্লাহ শেখ হাসিনাকে তুমি তার বাবার কাছে পাঠিয়ে দাও। আমিন।’
এবার দানবাক্সগুলো খুলে রেকর্ড ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৩৫০ জনের একটি দল টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তরিকুল ইসলাম, লে. কর্নেল রিয়াজুল করিম, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, তিনমাস ২৬ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এবারও দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাংক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ হয়।
টাকা গণনার কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষক ও আইসিটি) মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ ৩৫০ জনের একটি দল অংশ নেন।