শিবপুরে নেশা ও অনলাইন জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতেই হত্যা করা হয় ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা (বিভাটেক) চালক রবিউল ইসলাম (১৮)কে। দীর্ঘ তদন্তের পর এ ঘটনায় জড়িত ৭ আসামী গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য পেয়েছে পিবিআই। বুধবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান, পিবিআই নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো: এনায়েত হোসেন মান্নান।
নিহত চালক রবিউল ইসলাম শিবপুর থানার দত্তেরগাঁও গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলাম সবুজের ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শিবপুর থানার দত্তেরগাঁও গ্রামের শাহজাহান এর ছেলে মোঃ নাহিদ শেখ (২২), মোঃ মস্তফার ছেলে মোঃ হুমায়ুন (৪০), দত্তেরগাঁও মধ্যপাড়ার মিলন খানের ছেলে মোঃ লিটন খান (৪৫), মাছিমপুর গ্রামের মোঃ রতন বাবুর্চির ছেলে জুবায়ের হাসান অমি (১৯) ও শিবপুর পশ্চিমপাড়ার মোঃ হাসিম উদ্দিন ভূইয়ার ছেলে শাজিদুল ইসলাম হাসিব (১৯), শিবপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার রহুল আমিনের ছেলে রাকিবুল (২০) ও ধানুয়া গ্রামের স্বপনের ছেলে জুয়েল (২১)।
পুলিশ সুপার জানান, ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর শিবপুর থানা এলাকার সাতপাইকা পাঁকা রাস্তার পাশের ধানক্ষেতে অজ্ঞাতনামা কিশোরের জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় পিবিআই ছায়া তদন্তসহ ক্রাইমসিন দল তথ্যপ্রযুক্তি ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মরদেহটি অটো চালক রবিউলের বলে শনাক্ত করেন। পরে এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামী করে শিবপুর থানায় মামলা করেন নিহতের মা।
পিবিআই নিজ উদ্যোগে মামলাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করে সম্ভাব্য আসামীদের সনাক্ত করে। রাকিবুল নামে একজনকে গ্রেপ্তারের পর চালক রবিউলের ছিনতাই হওয়া অটোরিক্সাটি রং পরিবর্তন করে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রির তথ্য পাওয়া গেলেও হত্যার রহস্য পাওয়া যায়নি। পরে বিভিন্ন সময়ে নরসিংদী, গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ সহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের পর হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসে। আসামীরা নিয়মিত মাদক সেবন করতো ও অনলাইনে জুয়া খেলতো। আসামীরা মাদক ও জুয়ার টাকা সংগ্রহের জন্য চালক রবিউলকে হত্যা করে অটো ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। আসামীদের মধ্যে হত্যাকারী ২ জনসহ মোট ৫ জন আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাদেকুল সিকদার বলেন, মাদক ও অনলাইন জুয়ায় আসক্ত আসামীরা সহজসরল প্রকৃতির অটোচালক রবিউলকে আগে থেকেই চিনতো। নেশা ও মাদকের টাকা যোগাড় করতেই তাকে হত্যা করে অটো ছিনতাই করে।