নরসিংদীর শিবপুরে মুরগীর খাদ্য, ঔষধ ও বাচ্চা ক্রয়- বিক্রয় ডিলারদের কাছে জিম্মি খামারীরা এমন অভিযোগের অন্ত নেই। প্রকাশ থাকে যে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা ১ দিনের মুরগির বাচ্চা ৮০- ৯০ টাকা দরে খামারীদের কাছে প্রদান করে থাকে।
সেই সিন্ডিকেটের সদস্যরা খামারীদের কাছ থেকে বাচ্চা, ঔষধ,খাদ্য ও মুরগী রিজেক্ট হলে বিক্রয় অর্থ্যাৎ চার দফায় লভ্যাংশ নিয়ে থাকে। বাচ্চা উৎপাদন কোম্পানিগুলো হ্যাচারী মূল্য প্রতি বাচ্চা ৫৬ থেকে ৫৯ টাকা মূল্যে ডিলারদের কাছে বিক্রয় করলেও ডিলাররা অতিরিক্ত লাভ করায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে খামারীরা ও সাব ডিলাররা।ফলে খামারীরা লাভের চেয়ে ক্ষতির আশংকায় থাকে। এতে করে পোল্ট্রি উৎপাদনে অনিহা খামারীদের, ফলে ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে পোল্ট্রি শিল্প।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গেলে উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের সীমারবাগ গ্রামের পোল্ট্রি খামারী মোখলেছ বলেন, নিউহোপ কোম্পানির বাচ্চা ৮২ টাকা ও নাহার ৭০ টাকা মূল্যে ১ দিনের বাচ্চা ক্রয় করেছি সুজাতপুর নতুন (চানুমারা) বাজারের ডিলার শামীমের কাছ থেকে ব্যবসা করার আশায়। কিন্তু মূল্য বৃদ্ধির ফলে লাভের চেয়ে লোকশানের সম্ভাবনা বেশি। কামরাব বাজারের ডিলার শাহ আলম,জয়নগর কোনাপাড়া বাজারের ডিলার আবুলসহ উপজেলা জুড়ে ডিলাররা সিন্ডিকেট করে ব্যবসা করে যাচ্ছে। এতে প্রান্তিক পর্যায়ের খামারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এমন আরো অভিযোগ করেন বেতাগিয়া গ্রামের খামারী মোখলেছুর রহমান, সুজাতপুর গ্রামের সোহেল ও বেতাগিয়া গ্রামের সাব ডিলার রুকন।
এ বিষয়ে ডিলার শামীমের সাথে কথা হলে জানান,আমরা হ্যাচারি রেট থেকে ৩ টাকা বেশি দামে খামারীর কাছে বাচ্চা বিক্রি করি, ৮০-৯০ টাকা বাচ্চার দাম রাখার বিষয়ে তিনি বলেন এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
সাব ডিলার শাহ আলম বলেন, একটা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাচ্চার দাম বাড়ানো হয়, তবে আমার যেসব খামারি আছে সেসব খামারীদের হ্যাচারি মূল্যে বাচ্চা দেই।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল শামীম এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাচ্চার দাম বৃদ্ধি এমন কোনো লিখিত প্রমাণাদি আমাদের কাছে নেই তবে মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি মনিটরিং করছি।