ডালিম খান /দেশে অনেক আগে থেকে বাল্য বিবাহের প্রথাটি চালু ছিলো। কিন্তু সরকারসহ বিভিন্ন সংস্থা যখন দেখলো যে এই বাল্য বিবাহের জন্য স্বামী-স্ত্রীর দ্ব্ন্ধ, শিশু জন্মের সময় সমস্যা, জন্মের পর শিশুর অপুষ্টিহীনতা নিয়ে সামাজিক ব্যাধিতে রুপ নিয়েছে। তখন সরকার বাল্য বিয়েকে বন্ধ করার জন্য ছেয়ে মেয়ের বয়স নির্ধারণ করেন। সেই হিসেবে একজন মেয়েকে কর্মপক্ষে ১৮ বছর এবং একজন ছেলেকে ২১ বছরের হলেই তখন বিয়ে উপযুক্ত হিসেবে কার্যকর করা হয়।
কিন্তু এদেশে দেখা গেছে যে, এখনো কোন কোন অঞ্চল বেধে যেখানে শিশুর হার কিছুটা কম সেখানে কুসংষ্কার ও ধর্মীয় গোড়ামী রয়েছে সেসব অঞ্চলে বাল্য বিয়ে এখনো হয়ে থাকে। আর সরকারের দায়ত্বপালনকারী মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের লোকজন সেই বিয়ে ঠেকাতে রাত দিন ছুটে চলেন গ্রামাঞ্চলে। আর এতেও দেখা দেয় নানান প্রতিবন্ধকতা। ভোটের আশায় জনপ্রতিনিধরা প্রাপ্ত বয়স্ক বলে জাল জন্মসনদ দিয়ে দেন। অপরদিকে বাবা মায়েরা তার সন্তানকে আর লেখাপড়া করাতে পারবেনা বা খরচ বহন করতে পারবেনা এই অজুহাতে বিয়ের আয়োজন করে থাকেন।
এসকল প্রতিবন্ধকতা থাকলেও প্রশাসন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বাল্য বিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে মুচলেকা গ্রহণ বা সামান্য জরিমানা করে থাকেন। এতেও কি বাল্য বিয়ে বন্ধ হচ্ছে? শতভাগ না হলেও অংনেকাংশে কমে আসছে। এছাড়া একে সামাজিকভাবে প্রতিহত ও সচেতন করতে পাড়া মহল্লায় নাটক, আলোচনাসভা ও সচেতনতামূলক সভা করে যাচ্ছে বিভিন্ন এনজিও ও সরকারী প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ। তেমনি একটি সভা গত ৩০ নভেম্বর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের মাঝেরচর গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। পলাশ উপজেলা মহিলা বিষয়ব অধিদপ্তরের আয়োজনে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা ইয়াসমিন। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার, জিনারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামরুল ইসরাম গাজী, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেহানা পারভীন, সাব রেজিস্টার আফসানা বেগম ও সমবায় কর্মকর্তা নাছিমা শাহীন।