শিবপুর প্রতিনিধি/
আবারো ঢাকা সিলেট মহাসড়কের সরকারি সম্পত্তির উপরে পাকা বিল্ডিং ,মাটি ভরাটসহ গড়ে উঠতেছে ব্যাঙের ছাতার মতো নতুন স্থাপনা।
উল্লেখ্য ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ইটাখোলা মুনসেফেরচর নামক স্হানে সড়ক ও জনপদের একোয়ারকৃত ২৮ শতাংশ জমির উপর ভূমিদস্যু জয়নালের মার্কেট নির্মাণ।
আবারো মার্কেট নির্মাণের জন্য মহাসড়কের পাশের গর্ত হীন জমি ভরাট করছেন ভূমিদস্যু জয়নাল আবেদীন,
গত শুক্রবার গভীর রাতে টাকা দিয়ে ওই গর্ত জমি ভরাট করছেন এবং তাই বলছেন এলাকাবাসী ।
এদিকে একই স্থানে আরেক ভূমিদস্যু মহাসড়কের রেশ ধরে পাকা বিল্ডিং নির্মাণ করেছেন, যেন দেখার কেউ নেই।
সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী জানা যায় ১৯৬৫ ইং সালে ২৮ শতাংশ জমি একোয়ার হয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ অধিদপ্তরের নামে । পরবর্তীতে ২০১৫ ইং সালে উক্ত জমির পূর্বের বিক্রেতাগণের লোকেরা বিজ্ঞ আদালতে একটি মিথ্যা মামলা করেন। পরে মহামান্য আদালত সড়ক ও জনপথ বিভাগের সকল কাগজপত্র দেখে শুনে প্রথমবার রায় প্রদান করেন। পরবর্তীতে আবারও ওয়ারিশগণ আদালতে পুনরায় আপেল করেন।
একই ভাবে দ্বিতীয়বারও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এর পক্ষে আদালত রায় প্রদান করেন। তবুও ক্ষান্ত হয়নি জয়নাল গং এর লোকেরা ,সড়ক ও জনপথ বিভাগ অধিদপ্তর কয়েকদফা উক্ত জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করেন । তারা কোন তোয়াক্কা না করেই ওয়াকসপ কারখানা তৈরি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। গণমাধ্যমকর্মীরা সরেজমিনে গেলে একই এলাকার হাজী মোশারফ হোসেন,
জয়নালের চাচাতো ভাইয়ের বউ মোছাম্মদ হাসিনা বেগম, মোঃ লাল মিয়া, ও জয়নালের চাচাতো বোন মাজেদা বেগম বলেন।আমরা ছোট থেকেই শুনে আসছি সোবেদ আলী গং দের কাছ থেকে তাদের পাওনা অর্থ বুঝিয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীনে নিয়ে যায়। এখন মৃত সোবেদ আলীর ছেলে জয়নাল ও নাতি বিল্লালসহ ওই ২৮ শতাংশ সম্পদের উপর পাকা মার্কেট নির্মাণ করেছেন। জয়নালের দাবি তাদের অবশিষ্ট ৬ শতাংশ জমি রয়েছে । আসলে তাদের ৩২ শতাংশ একোয়ার করেছে ২৮ শতাংশ ৩ শতাংশ জমি বিক্রি করেছে বাকি ১ শতাংশ জমি হাতে আছে। এখন সরকার ই ভালো জানেন এ সম্পদ কার । সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এর কর্মকর্তা বলেন ১৯৬৫ ইং সালে জমির মালিকগনে জমির সকল কাগজপত্র দিয়ে জমির ক্ষতিপূরণের টাকা বুঝে নিয়েছেন ।
এ ব্যাপারে এলাকার অনেকেই অবগত আছেন । মৃত ছোবেদ আলীর ছেলে জয়নাল আদালতে একটি মামলা করেছিল।পরে আদালত সড়ক ও জনপথ বিভাগ কে রায় প্রদান করেছেন, বর্তমানে উক্ত জমির উপরে তারা বিল্ডিং স্থাপনা করে ব্যবসা করছেন । এরই সূত্র ধরে জমির ওয়ারিশগণ আদালতে রেকর্ড সংশোধনী মামলা করেন, আমাদের রেকর্ড অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা অফিসের এল এ কেস নং ২১/৬-৪-৬৫ ইং মৌজা মুনসেফেরচর, দাগ নং ৫৮২
উক্ত দাগ হইতে তৎকালীন সরকার বাহাদুর কতটুকু ভূমি হুকুম দখল করে আছেন কার কার নামে রেকর্ড হয়ে আছে এবং কে কে কতটুকু ভুমি হুকুম দখল করিয়া আছেন, কার কার নামে এ রেকর্ড হইয়াছে এবং কে কে কতটুকু ভূমির ক্ষতিপূরণের টাকা গ্রহণ করিয়াছেন, তার বিস্তারিত বিবরণ জানতে আদালতে দাখিল করেছেন ।পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত দুই দফা রায় প্রদান করেন নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক ও জনপথ বিভাগ বাসাইল অধিদপ্তরকে ।
উক্ত জমি থেকে স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য চিঠি প্রধান করেছি।আমাদের হাতে সমস্ত কাগজপত্র এলে আমরা মহাসড়কের পাশে অবৈধ সম্পদের স্থাপনা উচ্ছেদ করার প্রস্তুতি চলছে ।