কে.এইচ.নজরুল ইসলামঃনরসিংদীর মনোহরদীতে বিয়ের ২২ দিনের মাথায় নববধু পারভীন আক্তার(২০) কে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে স্বামীর পরিবার হত্যার এক চাঞ্চল্যকর সংবাদ পাওয়া গেছে। গত রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি)সকালে মনোহরদী উপজেলার চরমান্দালীয়া ইউনিয়নের চরমান্দালীয়া মুন্সিপাড়ায় স্বামী আসিফের নিজ ঘর থেকে সংবাদ পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ।নিহতের পরিবার সূত্রে জানাজায়,পারভীনের বিয়ে হয় প্রায় দশ মাস পূর্বে ।বিয়ে হয় চরমান্দালীয়া ইউনিয়নের চরমান্দালীয়া মুন্সীপাড়া গ্রামের খোর্শিদের পুত্র ঘাতক আসিফ (২৫) এর সাথে।বিয়ে হওয়ার পর থেকে নববধু পারভীন পিতার বাড়িতে থাকতেন।নিহতের পিতা আঃ মান্নান বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে খোর্শিদের পুত্র ঘাতক আসিফ(২৫)ও শ্বশুর মোর্শিদ (৫৫) কে গ্রেফতার করে সোমবার আদালতে পেরণ করে।নিহত পারভীন একই উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের খালিয়াবাইদ গ্রামের আব্দুল মান্নানের ২য় মেয়ে।নিহতের বড় ভাই স্বপন মিয়াও পরিবার সূত্রে জানাজায়, ১০ মাস আগে মুন্সিপাড়া গ্রামের খোরশেদের পুত্র আসিফের সঙ্গে পারভীনের বিয়ে হয়। আসিফ নরসিংদীর একটি টেক্সটাইল মিলে শ্রমিকের কাজ করতেন।বিয়ের পর করোনাকালীন সময়ে তার চাকরি চলে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েন।পরবর্তীতে তারা আমাদের বাড়িতেই থাকতেন। গত ২২ দিন পূর্বে পারভীনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বামীর বাড়িতে উঠিয়ে দেয়া হয়। সখানে যাওয়ার কয়েকদিন পরই পারভীনের সব স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে দেন আসিফ।স্বর্ণ বিক্রির টাকা দিয়ে তিনি নিয়মিত মাদকসেবন করতেন। এসব নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।পিতা আঃ মান্নান সাংবাদিকদের জানায়,বিয়ের পর আমার মেয়ের জামাইকে দেড় লহ্ম টাকা দিয়ে এটি বাড়ি করে দেই।তিনি আরও জানান, গত দুইদিন ধরে পারভীনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার সন্ধ্যায় তার শ্বশুরবাড়িতে গেলে পারভীনকে পাওয়া যায়নি। রবিবার সকালে পাশের বাড়ি থেকে একজন ফোনে জানায়, পারভীনের লাশ পাওয়া গেছে। পরে আমরা সেখানে গিয়ে শ্বশুরের বিছানার নিচে তার লাশ দেখতে পাই।আমি খুনিদের বিচার চাই।রামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃমোমেনুল ইসলাম জানায়,অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করে আদলতে পেরন করা হয়েছে।